যশোর সদর উপজেলার হামিদপুর এলাকায় আর ডি এফ (RDF) নামের একটি ভুয়া এনজিওর প্রতারণা নিয়ে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদের সৃষ্টি হয়েছে। সদস্য সংগ্রহ ও ঋণ প্রদানের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে মাত্র সাত দিনের মধ্যে শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় সংস্থাটির কর্মীরা। অফিসে এসে গ্রাহকরা তালা ঝুলতে দেখে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এনজিও কর্মকর্তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেলে আরও সন্দেহ ঘনীভূত হয়।
ভুক্তভোগীদের দাবি, বিদেশযাত্রা ও জরুরি ঋণ নেওয়ার আশায় তারা ৩০,০০০ থেকে শুরু করে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা জমা দিয়েছেন। কিন্তু নির্ধারিত দিনে ঋণগ্রহণ করতে এসে অফিসে কাউকে পাওয়া যায়নি। কান্নাজড়িত কণ্ঠে এক বিদেশগামী গ্রহীতা জানান,
এনজিওর প্রতি বিশ্বাস করে তিনি সব সঞ্চয় দিয়ে দেন, এখন তার বিদেশ যাওয়ার স্বপ্নই ভেঙে গেল।
স্থানীয়রা জানান, হামিদপুরের একটি ভাড়া বাড়িতে এনজিওটি তাদের কার্যক্রম চালাত। বাড়ির মালিক ব্যাংকার শফিকুজ্জামান জানান,
এনজিও কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে ব্যর্থ হলেও তিনি আশ্বাসের ভিত্তিতে ঘরটি ভাড়া দেন। এতে বাড়ির মালিকের সম্ভাব্য যোগসাজশ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, যথাযথ ডকুমেন্ট ছাড়াই ঘর ভাড়া দেওয়া এবং এনজিও কর্মীদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি ইঙ্গিত দেয় যে প্রতারণাটি পরিকল্পিত ছিল। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
প্রতারণার শিকার গ্রাহকরা এখন তাদের টাকা ফেরত পাওয়ার দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং প্রয়োজনে জেলা প্রশাসক
(ডিসি) ও পুলিশ সুপার (এসপি) বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

MD ABU HURAIRA